নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর শাহবাগ থেকে নোয়াখালী যাওয়ার পথে ফেনীতে ধর্ষণবিরোধী লংমার্চে হামলার প্রতিবাদে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আজ বুধবার পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এ অবরোধ কর্মসূচি সারাদেশে পালন করছেন তারা। এ সময় আন্দোলনকারীরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
অবরোধ কর্মসূচির আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে একটি সমাবেশ করেন অবরোধকারীরা৷ সমাবেশ শেষে কাটাবনের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাস্তা অবরোধ করেন তারা৷ এতে শাহবাগ থেকে সাইন্সল্যাব, বাংলামোটর ও মৎসভবন এলাকার রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় শাহবাগে পুলিশের ২৫-৩০ জনের একটি টিমকে লাঠি-হেলমেট নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে৷ অবরোধ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টসহ আরও কয়েকটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা রয়েছেন।
শাহবাগ মোড়ে পুলিশের অবস্থানগত ৫ অক্টোবর থেকে ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে নয় দফা দাবিতে শাহবাগে গণজমায়েত কর্মসূচি শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা৷ এরপর ১৬ অক্টোবর ঢাকা থেকে লংমার্চ নিয়ে নোয়াখালীতে গিয়ে সমাবেশ করে আবার ১৭ অক্টোবর ঢাকা ফেরেন তারা৷ সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স বলেন, ‘ধর্ষণবিরোধী লংমার্চ নিয়ে ফেনীতে গেলে আমাদের উপর হামলা করা হয়৷ সেই হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে৷ ঢাকাতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন চলমান থাকবে৷’
ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক রাগিব নাঈম বলেন, যারা ধর্ষকদের লালন-পালন করে তারাই আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে৷ এর প্রতিবাদে আমাদের কর্মসূচি চলবে। ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, এ রাষ্ট্র ধর্ষকদের নিরাপত্তা দেয়। ধর্ষকদের পক্ষে কথা বলে৷ আর যারা ধর্ষণের প্রতিবাদ করে তাদের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগ দিয়ে হামলা চালায়৷ আমরা রাষ্ট্রের এ ধরনের চরিত্রের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন অর রশীদ বলেন, আন্দোলনকারীদের আমরা রাস্তা থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেছি৷ তারা আমাদের কথা শোনেননি। তাদের অবোরোধের জন্য যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।